ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

কে হচ্ছেন পেকুয়া-চকরিয়ার নৌকার মাঝি, শেষ হাসিটা কার মুখে

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (পেকুয়া-চকরিয়া) আসনে বর্তমান ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ১১ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করে জমাও দিয়েছেন।

তবে মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের অনেকেই দলীয় কর্মকান্ডে পেকুয়া-চকরিয়া উপজেলায় সক্রিয় না থেকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করায় সাধারন কর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

কক্সবাজার-১ (পেকুয়া-চকরিয়া) আসন জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন। অতীতের চেয়ে এ বারে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়াটা নাকি অনেকটা চ্যালেঞ্জিং বলে জানান আওয়ামী লীগের তৃণমূলের সচেতন নেতা-কর্মীরা। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে অতীতের সব রের্কড ভেঙে গেছে। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার পর থেকে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।

এ আসনে কে হচ্ছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ নিয়ে তাকিয়ে রয়েছেন চকরিয়া-পেকুয়ার আওয়ামী লীগের হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ। তবে শেষ হাসিটা কার, কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি? তা এখন দেখার অপেক্ষায় রয়েছে পেকুয়া-চকরিয়াবাসী।

জানা যায়, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন যারা সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন-চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম বিএ (অনার্স) এমএ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারী সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ডক্টর আশরাফুল ইসলাম সজীব, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী জিয়া, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম মহিউদ্দিন মুকুল বাবর, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি নুরুল আজিম কনক কোম্পানী ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ আমিনুল হক।

বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, এসব প্রার্থী ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রেীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন। পেকুয়া-চকরিয়া আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হওয়ার জন্য অনেকেই দলীয় সিনিয়র নেতাদের বাসা-বাড়ি ও অফিসে ধর্ণা দিচ্ছেন। চালিয়ে যাচ্ছেন জোর লবিং।

তবে, আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হবে সারা দেশের ৩০০ আসনে কারা নৌকা প্রতীক পাচ্ছেন। এদিকে বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমসহ ১১ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী পেকুয়া-চকরিয়া আসন থেকে নৌকা প্রত্যাশী হলেও কার ভাগ্যে জুটছে নৌকা প্রতীক এখন সঠিকভাবে বলতে পারছেনা পেকুয়া-চকরিয়ার তৃণমুলের নেতা কর্মীরা। তবে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম। তিনিই নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পাবেন। কারণ তিনি বিগত পাঁচ বছর ধরে চকরিয়া-পেকুয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। দলকে সু-সংগঠিত করেছেন।

পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারান সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল কাসেম বলেন, বিগত ৫ বছর ধরে চকরিয়া-পেকুয়ার উন্নয়নের নিরলসভাবে কাজ করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম। আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত করতে তিনিই চকরিয়া-পেকুয়ায় কাজ করেছেন। এখন নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় অনেকেই দলীয় মনোনয়ন চাইছেন। কিন্তু এসব ক্ষণিকের অথিতিদের দলীয় কর্মকান্ডে দেখা যায়না। এই আসনে একমাত্র জাফর আলমই নৌকা প্রতীকের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি। দ্বিতীয় আর কেউ নেই। তাই তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলমকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোরালো দাবি জানান। তবে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের জাফর বিরোধীরা ভিন্ন মত করে বলেছেন তাকে এ আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করা হলে ভরাডুবি হবে দলের।

পেকুয়া-চকরিয়া আসনে এবার ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৪১৯ জন ভোটার, ১৫৮টি ভোট কেন্দ্রের, ১হাজার ৪১টি কক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে সাধারণ ভোটাররা।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম বলেন, বর্তমানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পাদনের লক্ষে প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্র পরিদর্শন এবং কেন্দ্রে যাতায়াত ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ সামগ্রিক বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: